প্রাণিবিদ্যা বা জুলজি সাবজেক্ট রিভিউ

জহির রায়হান

প্রাণিবিদ্যা বা জুলজি সাবজেক্টের পরিচয়

প্রাচীন মানবদের গুহার দেয়ালে অঙ্কিত বাইসন কিংবা পঙ্গপালের ছবি, অ্যাসিরীয় সভ্যতার ল্যামাস্যু নামক অর্ধ মানব অর্ধ পশু দেবতা, হাজার বছরের পুরণো মিশরের পিরামিডের মধ্যকার বিড়াল কিংবা সাপের মমি অথবা কোরানে বর্ণিত পিঁপড়া কিংবা মৌমাছির কথা আমাদের বারবার মনে করিয়ে দেয় যে প্রাণী ও জীবজগতের সাথে মানুষের সম্পর্ক বেশ দীর্ঘদিনের।

প্রাচীন গ্রীসের এরিস্টটল, মধ্যযুগের আরব দার্শনিক আল জাহিজ কিংবা ষোড়শ শতাব্দীর কনরাড গেসনার, যুগে যুগে এমন বহুমুখী প্রতিভাধর মানুষদের হাত ধরে একটু একটু করে প্রতিষ্টিত হতে থাকে প্রাণীজগৎ সম্পর্কিত নানাবিধ জ্ঞান অর্জনের এই চমৎকার একটি শাখা তথা প্রাণিবিদ্যা। শুরুর দিকে অনেকটা দর্শনের ছাঁচে গড়ে ওঠার দরুণ প্রাণী সম্পর্কিত জ্ঞান চর্চার শাখাটি দর্শনের একটি অংশ ‘ প্রাকৃতিক দর্শন’ এর অন্তর্ভুক্ত ছিল।

স্পেনের গুহার দেয়ালে প্রাচীন মানুষদের অঙ্কিত বাইসন
স্পেনের গুহার দেয়ালে প্রাচীন মানুষদের অঙ্কিত বাইসন

হাসান ইবনে হাইসাম ও রজার বেকনের যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক কর্মপদ্ধতি ও পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানের সূচনার পরে স্যার আইজ্যাক নিউটনের পদার্থবিদ্যা ও গণিতে অভূতপূর্ব অবদানের ঠিক পরে সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীর দিকে ইউরোপে বিভিন্ন বিপ্লবের দ্বারা ‘বস্তুবাদ’ ও ‘বৈজ্ঞানিক প্রকৃতিবাদ’ এর ভিত্তিতে বিজ্ঞানের অন্যান্য সকল শাখা সর্বোপরি আজকের দুনিয়ায় আমরা যাকে বিজ্ঞান বলে থাকি তার আবির্ভাব ঘটে। এর ঠিক পরে ব্রিটিশ প্রকৃতিবিদ চার্লস রবার্ট ডারউইন ও আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস তাঁদের ‘প্রাকৃতিক নির্বাচন’ মতবাদ প্রকাশের পর থমাস হেনরি হাক্সলি, হার্বার্ট স্পেনসার সহ অন্যান্য ব্যক্তিদের হাত ধরে ধর্মতাত্ত্বিক ‘প্রাকৃতিক দর্শন’ থেকে বেরিয়ে প্রাণীবিদ্যা তথা জীববিজ্ঞান, বিজ্ঞানের একটি শাখা হিসেবে সুপ্রতিষ্টিত হয়।

অর্থাৎ আজ যে ‘প্রাণিবিদ্যা (Zoology)’ নামক শাখাটি, এর পরিপূর্ণ বিকাশ লাভ ঘটে অষ্টাদশ, উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে। খুব বেশীদিনের নয়, তবু এই অল্প দিনেই প্রাণিবিদ্যা সাফল্যের এক চরম চূড়ায় পৌঁছাতে পেরেছে অগণিত প্রকৃতিপ্রেমী বিজ্ঞানীদের নিরলস শ্রম আর সাধনার দ্বারা। জিনতত্ত্ব, শরীরবিদ্যা, জীবভূগোল, প্রাণরসায়ন, কীটতত্ত্ব ,পরিবেশবিদ্যা সহ প্রাণিবিদ্যার রয়েছে অজস্র মৌলিক ও ফলিত শাখা।

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা প্রাণিবিদ্যা সম্পর্কে প্রথম পরিচয় লাভ করে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশদভাবে পড়ার সুযোগ মেলে প্রাণিবিদ্যা সম্পর্কে। এছাড়াও দেশের এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে প্রাণিবিদ্যার মৌলিক ও প্রায়োগিগ বিভিন্ন শাখায় পড়া ও উচ্চতর গবেষণার সুযোগ।

প্রাণিবিদ্যা বা জুলজি কেনো পড়বো

মানব মন স্বভাবতই কৌতুহলপ্রেমী। প্রকৃতি ও পরিবেশের নানাবিধ ঘটনা ও দিক নিয়ে জানার প্রচেষ্টায় সেই প্রাচীন মানুষরা যেমন খালি চোখে আকাশ পর্যবেক্ষণ করে গড়েছিলেন নানারকম কল্প কাহিনী তেমনি আজও আমরা আকাশের দিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে চর্চা করি মহাকাশবিদ্যা।

গভীর সমুদ্রতল থেকে উচ্চ পর্বতের চূড়ায় সবখানে বিস্তরণ অসংখ্য প্রাণীর যার প্রকৃত হিসাব আজও অজানা। এত শত বৈচিত্র্যময় প্রাণীদের মধ্যে আমরা মানুষ অন্যতম, আমরাও এই প্রাণিজগৎ ও পরিবেশের একটি অংশ হিসেবে এক গভীর ও দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ সবার সাথে। খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা সহ বিনোদন কিংবা আত্মার প্রশান্তির উদ্দেশ্যে আমরা প্রতিনিয়ত প্রাণীজগতের অন্যান্য প্রাণীদের উপর নির্ভরশীল। দুধ, ডিম, মাছ, মাংস ,মধু যত ধরণের প্রাণীজ খাবারই আমরা খাই না কেনো আমরা প্রতিক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রাণীর উপর প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল।

উদ্ভিজ্জ খাবারও কিন্তু বিভিন্ন প্রাণীর সহায়তা ছাড়া আমরা পেতাম না। কারণ পরাগায়ন, বিস্তরণ , আত্মরক্ষা সহ নানাবিধ কারণে উদ্ভিদরা প্রজাপতি, মৌমাছি, বোলতা ,পাখী সহ বিভিন্ন প্রাণীর উপর নির্ভরশীল। কখনো লোকজ আবার কখনো বৈজ্ঞানিক উপায়ে নানারকম ঔষধ বা চিকিৎসার কাজে ব্যবহার হয় অগণিত প্রাণীর। যেমন: ছোট পিঁপড়ার কথাই ধরা যাক! কোথাও কামড়ে ধরলে সহজে ছাড়ে না পিঁপড়াগুলো, তাই না! আর এই বৈশিষ্ট্যটিকে কাজে লাগিয়েই এক ধরণের পিঁপড়া ব্যবহৃত হয় মানবদেহের কোথাও কেটে গেলে সেখানে সেলাই (স্টিচ) এর বিকল্প হিসেবে!

গিলা মনস্টার
গিলা মনস্টার

আবার ধরা যাক গিলা মনস্টার নামক আমেরিকান এক বিষাক্ত সরীসৃপের কথা! নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এরা কতখানি বিষাক্ত, আর তাইতো মনস্টার বা দানব নামে ডাকা হয় এদের! এই ভয়ানক প্রাণীটির লালারস দিয়ে তৈরি হয় টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগের এক ধরণের ঔষধ।

পিগমি র‍্যাটল স্নেক
পিগমি র‍্যাটল স্নেক

আরেক ধরণের বিষাক্ত প্রাণীর কথা ভাবা যাক, যেমন: সাপ। দক্ষিণ আমেরিকায় প্রাপ্ত পিট ভাইপার নামক সাপের বিষ থেকে প্রস্তুত হয় বিভিন্ন রক্ত সংক্রান্ত রোগের ঔষধ। আবার সাউদার্ন পিগমি র‍্যাটলস্নেইক নামক সাপের বিষ থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত হয় হার্ট এটাকের এক ধরণের ঔষধ।
মাকড়শা কে না ভয় পায়!

ফানেল ওয়েব স্পাইডার
ফানেল ওয়েব স্পাইডার

অধিকাংশ মাকড়শা মানুষের জন্য বিষধর না হলেও গুটিকতক মাকড়শা আছে যারা সত্যিই বিষধর। যেমন: ফানেল ওয়েব স্পাইডার নামক কিছু মাকড়শা, যাদের বিষে মানুষের মৃত্যুও ঘটে থাকে। অবাককর বিষয় হচ্ছে এই বিষ দিয়েই প্রস্তুত করা হয় স্ট্রোক রোগীদের মস্তিষ্কের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ।
কিছু প্রজাতির কাঁকড়াবিছের বিষ ব্যবহৃত হয় কিছু ধরণের ক্যান্সারের চিকিৎসায়। কি বিস্ময়কর তাই নয় কি! রেশম কাপড়ের ব্যবহার দীর্ঘদিনের। এই আরামদায়ক কাপড়ের সুতার উৎসও কিন্তু রেশম মথ নামক এক প্রজাতির পতঙ্গের শুঁয়াপোকা থেকে।

রেশম মথ ও শুঁয়োপোকা
রেশম মথ ও শুঁয়োপোকা

শুধু এতটুকুই নয়, কাব্য, গদ্য, গান, চিত্রশিল্প, ঘর সাজানো কিংবা নারীদের সাজসজ্জার উপকরণ সহ আঞ্চলিক উপাখ্যান কিংবা বিভিন্ন পৌরাণিক ও ধর্মীয় কল্পকাহিনী, মানব সভ্যতার প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই মিশে আছে বিভিন্ন প্রাণীর নাম। এ তো গেলো কেবল মানবকেন্দ্রিক চিন্তা, পরিবেশের সাথে প্রাণী ও বিভিন্ন জীবের বিভিন্ন সম্পর্কের কথা বলতে গেলে তো হাজার পৃষ্ঠা লিখেও শেষ করা যাবে না।

ক্ষেতে ঘাস খাওয়া অবস্থায় গরুটির দিকেই ফেরা যাক! প্রায়ই দেখা যায় ওদের গায়ে বসে আছে কোনো পাখি। কেনো এমন? নেহাতই বিশ্রামের উদ্দেশ্যে বসেছে পাখীগুলো নাকি অন্য কারণ আছে? অবশ্যই আছে এক দারুণ কারণ। আর তা হচ্ছে গরুর দেহে বসবাসকারী বিভিন্ন পরজীবী (যেমন: উকুন) খেতেই ওদের গায়ে বসে নানারকমের পাখী। আবার উদ্ভিদের সাথে বোলতার ভাব বিনিময়ের কথাই ধরা যাক না!

কোনো উদ্ভিদের পাতায় ক্ষতিকর শুঁয়াপোকা বসলে উদ্ভিদরা রাসায়নিক বার্তা পাঠায় উদ্ভিদের বন্ধু বোলতার কাছে। আর সংকেত পেয়ে বোলতা এসে শত্রু শুঁয়াপোকা কে হুল ফুটিয়ে মেরে বাঁচিয়ে দেয় উদ্ভিদকে! গভীর সমূদ্র থেকে পাহাড়ের চূড়া কিংবা উচ্চ আকাশে উড্ডয়নরত পাখী- এত হাজারো বৈচিত্রময় প্রাণীদের নিয়ে যে শাখায় বিশদ পড়ার সুযোগ রয়েছে এতক্ষণের আলোচনার পর নিশ্চয়ই সবাই বুঝতে পেরেছি এই চমৎকার প্রাণিবিদ্যা নিয়ে কেনো পড়া উচিৎ!

সহজ কথায় যদি বলতে চাই, তাহলে বিজ্ঞান ও প্রাণীবিদ্যার লক্ষ্য নিয়ে বললেই কেনো পড়া উচিৎ তা আরো পরিষ্কার হয়ে উঠবে। বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য জ্ঞান অর্জন, প্রাণিবিদ্যারও। বিজ্ঞান এই কাজটি করে থাকে প্রশ্নের মাধ্যমে, কারণ উদঘাটন করে। প্রাণিবিদ্যা প্রাণিজগতের দুইটি কারণ নিয়ে কাজ করে। প্রথমটিকে বলা হয়: নিকটবর্তী বা প্রত্যক্ষ কারণ। কেনো ও কিভাবে প্রাণীরা নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে এর কারণ আলোচিত হয় এখানে। আর দ্বিতীয় কারণ যা নিয়ে প্রাণিবিদ্যা কাজ করে থাকে তার নাম অন্তিম কারণ। বিবর্তনের ধারায় কোটি বছর ধরে কিভাবে এতসব বৈচিত্র্যময় প্রাণীদের আবির্ভাব ঘটলো এ কারণ নিয়ে আলনা হয় এখানে। তাহলে একজন প্রাণী হিসেবে, প্রাণীজগতের একজন সদস্য হিসেবে আমাদের ও আমাদের জগতের সকল প্রাণীদের এতসব দিক নিয়ে জানার মধ্যে যে আলাদারকমের আনন্দ রয়েছে অন্তত সে আনন্দ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে হলেও প্রাণিবিদ্যা পড়া উচিৎ।

এই সবুজ গ্রহের এই সুন্দর প্রকৃতির একটি অংশ হিসেবে এই প্রকৃতিকে রক্ষা করা আমাদের সকলের আবশ্যিক দায়িত্ব। আর এই কাজের উদ্দেশ্যে প্রাণিবিদ্যা পড়া একটি মহান কর্মযজ্ঞ বলে আমি মনে করি।

প্রাণিবিদ্যা সাবজেক্টে কি কি পড়ানো হয়

প্রাণীজগৎ সম্পর্কিত বিশদ জ্ঞান লাভের উদ্দেশ্যে যা যা আবশ্যক তার সবকিছু নিয়েই প্রাণিবিদ্যা। অঙ্গসংস্থান, শরীরবিদ্যা, পরিবেশ, জীব ভূগোল, কোষ বিদ্যা, প্রাণ রসায়ন, জিনতত্ত্ব, বিবর্তনবাদ, জীব পরিসংখ্যান/বায়োস্ট্যাটিস্টিক্স, জীব পদার্থবিদ্যা/বায়োফিজিক্স সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়ানো হয় প্রাণিবিদ্যায়। এ লক্ষ্যে দেশের ও দেশের বাইরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব পাঠ্যসূচী। এখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে চার বছরমেয়াদী বি এস সি (সম্মান) এর সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত বিষয়বস্তুসমূহের তালিকা দেয়া হলো:

প্রথম বর্ষের কোর্স

Introduction to Zoology: protista to cnidaria

Platyhelminthes and Nematoda

Mollusca and Annelida

Arthropoda

Echinodermata to Cephalochordata

Minor Phyla

Botany-1

Botany-2

Biochemistry -1

Biochemistry -2

Microbiology- 1

Others practical

২য় বর্ষের কোর্স

Agnatha and Pisces

Amphibia and Reptilia

Aves and Mammalia

Applied Zoology

Cytology and Histology

Human diseases

7. Biostatistics -1

Biostatistics -2

Ecology -1

Microbiology -2

Biophysics

Others practical

প্রাণিবিদ্যার কিছু পাঠ্য বই
প্রাণিবিদ্যার কিছু পাঠ্য বই

৩য় বর্ষের কোর্স

Molecular Biology

Animal Physiology

Animal Genetics

Animal Embryology

Systematic Zoology and Research Methodology

Zoogeography

Paleontology

Evolution Biology and Comparative Anatomy

Ecology -2

Human Ecology, demography and bio safety regulations

Biodiversity

Ethology

Others practical

৪র্থ বর্ষের কোর্স

Biological Techniques and Bioinformatics

Biotechnology and Genetic Engineering

Entomology -1

Entomology -2

Fisheries and Limnology -1

Fisheries and Limnology -2

Parasitology -1

Parasitology -2

Wildlife Biology -1

Wildlife Biology -2

Environmental Biology -1

Environmental Biology -2

Oceanography

Others practical

প্রাণিবিদ্যায় গবেষণার সুযোগ

দেশে ও দেশের বাইরে প্রাণিবিদ্যার বিভিন্ন শাখা নিয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে। প্রাণিবিদ্যার মৌলিক ও প্রায়োগিক বিভিন্ন শাখায় দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি মুহুর্তে নানারকম বৃত্তি ও সুযোগ দিয়ে থাকে। আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়াইল্ডলাইফ বায়োলজি, প্যারাসাইটোলজি (পরজীবিবিদ্যা) , ফিশারিজ (মৎস্যবিদ্যা), এন্টোমলজি (কীটতত্ত্ব) সহ বিভিন্ন শাখায় উচ্চতর পড়াশোনা ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে। গবেষণার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উদ্যোগে রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন: ভেনম রিসার্চ সেন্টার , হালদা নদী গবেষণাগার ইত্যাদি। এছাড়াও জিনতত্ত্ব, পরিবেশবিদ্যা সহ বিভিন্ন ফলিত শাখায় উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার উদ্দেশ্যে বিদেশে পাড়ি জমান অনেক জ্ঞানকামী শিক্ষার্থী। যেমন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শ্রদ্ধেয় সাজিদ আলী হাওলাদার চারটি নতুন প্রজাতির ব্যাঙ আবিষ্কার করেন এবং বর্তমানে তিনি ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত আছেন। পৃথিবীর প্রায় সর্বোত্র প্রাণিবিদ্যার বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়েছে উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ।

প্রাণিবিদ্যা বা জুলজিতে ক্যারিয়ার

পড়াশোনার প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য জ্ঞান অর্জন ও নিজের মধ্যকার অন্ধকার দূরীভূত করে নিজেকে আলোকিত করা। তবে বর্তমানকালে পড়াশোনার সাথে ক্যারিয়ার শব্দটিও এক অজানা বন্ধনে আবদ্ধ। প্রাণিবিদ্যায় পড়াশোনা করে রয়েছে বিভিন্ন দিকে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ। যেমন :

বিষয়ভিত্তিক ক্যারিয়ার:

গবেষণা : দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে গবেষণা করার ও এ অনুযায়ী ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে।যেমন: বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইন্সটিটিউট।

শিক্ষকতা : প্রাণিবিদ্যা পড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হবার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও সরকারী বেসরকারি কলেজ, বিদ্যালয় ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত হওয়া যায় প্রাণিবিদ্যা পড়ে।

বিভিন্ন দফতর ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা : চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা ইত্যাদি।

বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকুরী সুবিধা। ইত্যাদি।

বিষয়ভিত্তিক এর বাইরের অন্যান্য:

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস)

ব্যাঙ্কের চাকুরী সহ-

বিভিন্ন সরকারী, আধা সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী সুবিধা।

আরো সাবজেক্ট রিভিউ

দর্শন বা ফিলোসোফি সাবজেক্ট রিভিউ

ইতিহাস সাবজেক্ট রিভিউ : যা জানা চাই

বাংলাদেশ স্টাডিজ সাবজেক্ট রিভিউ : যা জানা চাই

রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাবজেক্ট রিভিউ : যা জানা দরকার

সংস্কৃত সাবজেক্টের রিভিউ: যা জানা দরকার

ফরেস্ট্রি সাবজেক্ট রিভিউ : যা জানা দরকার

উন্নয়ন অধ্যয়ন বা ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ সাবজেক্ট রিভিউ

বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাবজেক্টের রিভিউ

সমাজতত্ত্ব বা সোশিওলজি সাবজেক্টের রিভিউ

লোকপ্রশাসন বা পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সাবজেক্টের রিভিউ

One thought on “প্রাণিবিদ্যা বা জুলজি সাবজেক্ট রিভিউ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *