স্বপ্ন ছিল পর্যাপ্ত পরিমাণ ইলিশ ধরতে পারবেন। আর সেই ইলিশ বেঁচে ঋণ পরিশোধ করে আবার ঘুরে দাঁড়াবেন। কিন্তু নদীতে গিয়ে ইলিশ না পাওয়ায় হতাশ হয়ে ফিরতে হলো জেলেদের।
ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনা নদীতে গিয়ে জেলেদের জালে মেলেনি কাঙ্ক্ষিত ইলিশ।
এদিকে ইলিশ না পাওয়ায় ক্রেতার সমাগম নেই তজুমদ্দিনের মৎস্য ঘাটগুলোতে। হতাশা বিরাজ করছে মৎস্য ব্যবসায়ী ও আড়ৎদারদের মাঝে।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, ইলিশের আভয়শ্রম হওয়ায় গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভোলার ১৯০ কিলোমিটার নদীতে ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা ছিল। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নেমে পড়েন জেলেরা। কিন্তু নদীতে জাল ফেলে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মেলেনি।
দুই মাসের ধার-দেনা, মহাজনের কাছ থেকে দাদন ও এনজিওর কিস্তি পরিশোধ তো দূরের কথা ট্রলারের তেলের খরচও উঠেনি জেলেদের।
চাঁদপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর জেলে মো. ফারুক মাঝি, রুহুল মাঝি বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে নদীতে যাই। কিন্তু হতাশ হয়ে ট্রলার নিয়ে তীরে ফিরে আছি।’
তারা জানান, গতকাল রাত ১২টার পর থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত নদীতে জাল ফেলে মাত্র ৩টি ইলিশ মাছ পেয়েছি। রুহুল মাঝেি বলেন, ১০ জন জেলে একটি ট্রলার নিয়ে প্রায় ৭ হাজার টাকা খরচ করে নদীতে যাই । মাত্র দুই হাজার ২শ’ টাকার ইলিশ পেয়েছি। এতে তেলের খরচও উঠেনি তাদের।’
তারা বলেন, নদীতে গিয়ে অনেক মাছ ধরে ধার-দেনা পরিশোধ করতে শুরু করমু। আমাদের দুঃখ দুর হবে। কিন্তু তা আর হলো না। অভিযানের দুই মাস যে ধার-দেনা ও এনজিওর কিস্তির টাকা বাকী ছিল তা এখন পরিশোধ করমু কেমনে।’
তজুমদ্দিনের মৎস্য ঘাটের ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় আমরা মৎস্য ব্যবসায়ী ও আড়ৎদাররা ঢাকা, বরিশাল, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলার পাইকারদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে জেলেদের দাদন দিয়েছি। কিন্তু এখন জেলেরা নদীতে গিয়ে মাছ না পেয়ে হতাশ। ফলে পাইকারদের কিভাবে মাছ দিবেন তা নিয়ে চিন্তিত তারা।’